লেখা: মুস্তাক আহমদ (সত্যের পথে)
হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সালাত আরবী কথা ৷ উপমহাদেশে সেই সালাতকে ফারসীতে নামাজ বলে ৷ তা যায় হোক, এখন প্রশ্ন হলো নামাজের মধ্যে মুহাম্মাদ (সঃ) ও আলে মুহাম্মাদ (আঃ)-এর উপরে দরুদ কেন পড়তে হয় ? আর এই দরুদ না পাঠ করলে নামাজ কবুল কবে না ৷
নামাজের মধ্যে দরুদ পাঠ করার মারেফত বুঝতে হলে নবীপাকের আর একটি হাদিসকে বুঝতে হবে, আর সেই হাদিসটি হলঃ
اَلصَّلاَةُ مِعْرَاجُ الْمُؤْمِنِيْنَ অর্থাৎ নামাজ হলো মুমিনের মেরাজ
নবীপাক (সঃ) যেটা বলতে চেয়েছেনঃ আমি নিজে মেরাজে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমার উম্মাতের মধ্যে যারা মুমিন হতে চায়বে সে যেন সালাত আদায় করে, এবং সেই সালাতে বাধ্যতামূলক আমাদের মত পাক পাঞ্জাতনের উপরে নামাজের মধ্যেই দরুদ পাঠ করে ৷ আমার উম্মাত যদি সেই দরুদের গভীরতা বুঝতে সক্ষম হয়, তাহলে ঐ মুমিনের নামাজটি মেরাজ হয়ে উঠবে ৷
আসলে নামাজ হলো আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) ও তাঁর আহলে বাইত (আঃ)গণদের মারেফত বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ৷ আর যারা মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদের মারেফত বা হকিকত যতটা বুঝবে, তারা ততই আল্লাহ'র মারেফত বুঝতে সক্ষম হবে ৷
মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদের মারেফত বোঝার নামই আল্লাহর করিব হওয়া ৷ নামাজে আমরা নিয়েত করার সময় বলিঃ "কুরবাতান এলাল্লাহ"
আসলে মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদ হলেন আল্লাহর প্রকাশ ৷ যারা মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদ' থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে, তারা আল্লাহর মারেফতও বুঝতে পারবে না ৷ যারা আল্লাহকে চিনবে না তারা দুনিয়াতে হালাক হয়ে যাবে ৷ আর পরকালে তো গভীর মুশকিলে পতিত হবে ৷
আসুন মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদের পরিচয়ে পরিচিত হই
আল্লাহর ইচ্ছার প্রকাশ হয়েছে হযরত মুহাম্মাদ সঃএর মাধ্যমে
আল্লাহর শক্তি ও ন্যায় ইনসাফ অর্থাৎ আল্লাহর আদালত প্রকাশ হয়েছে হযরত আলী আঃএর মাধ্যমে
আল্লাহর সংযম ও সৌন্দর্য প্রকাশ হয়েছে হযরত ফাতিমা আঃএর মাধ্যমে
আল্লাহর শান্তি ও রহমত প্রকাশ হয়েছে হযরত হাসান আঃএর মাধ্যমে
আল্লাহর সত্য ও ত্যাগের প্রকাশ হয়েছে হযরত হুসাইন আঃএর মাধ্যমে ৷
এখন যদি মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদ'কে মানুষ দূরে সরিয়ে দেয়, যদি ভুলে যায়, যদি তাঁদের মারেফত না বোঝে, তাহলে আল্লাহ কি আল্লাহ কেমন ..তা কেউ বুঝতে সক্ষম হবে না ৷ তাই এজন্য মুসলমানদের 'সালাত' আদায় করা ফরজ (বাধ্যতামূলক) করা হয়েছে ৷ আর সেই সালাতেই মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদের উপরে দরুদ পাঠ করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ আর সে জন্যই নামাজকে মুমিনের মেরাজ বলা হয়েছে ৷
সুধু এতটুকু নয়, বরং সালাত কায়েম করতে বলা হয়েছে ৷ সালাত কায়েমের মানে হলোঃ দুনিয়াতে মুহাম্মাদ ও আলে মুহাম্মাদের এলাহী-মর্যাদাকে প্রতিষ্টা করা ৷
দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।
আপনার কমেন্ট